কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে।ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে।শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার।লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানেইন্দ্রমেঘ;কালো দিন গলির রাস্তায়।কেঁদেও পাবে না তাকে অজস্র বর্ষার জলধারে।নিবিষ্ট ক্রান্তির স্বর ঝরঝর বুকেঅবারিত।চকিত গলির প্রান্তে লাল আভা দুরন্ত সিঁদুরেপরায় মূহুর্ত টিপ,নিভে যায় চোখেকম্পিত নগরশীর্ষে বাড়ির জটিল বোবা রেখা।বিরাম স্তম্ভিত লগ্ন ভেঙেআবার ঘনায় জল।বলে নাম, বলে নাম, অবিশ্রাম ঘুরে-ঘুরে হাওয়াখুঁজেও পাবে না যাকে বর্ষায় অজস্র জলধারে।আদিম বর্ষণ জল, হাওয়া, পৃথিবীর।মত্ত দিন, মুগ্ধ ক্ষণ, প্রথম ঝঙ্কারঅবিরহ,সেই সৃষ্টিক্ষণস্রোত:স্বনামৃত্তিকার সত্তা স্মৃতিহীনাপ্রশস্ত প্রচীর নামে নিবিড় সন্ধ্যায়,এক আর্দ্র চৈতন্যের স্তব্ধ তটে।ভেসে মুছে ধুয়ে ঢাকা সৃষ্টির আকাশে দৃষ্টিলোক।কী বিহ্বল মাটি গাছ, দাঁড়ানো মানুষ দরজায়গুহার আঁধারে চিত্র , ঝড়ে উতরোলবারে-বারে পাওয়া, হাওয়া, হারানো নিরন্ত ফিরে-ফিরে-ঘনমেঘলীনকেঁদেও পাবে না যাকে বর্ষায় অজস্র জলধারে।
Friday, 15 May 2015
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment